প্রকাশিত: Fri, Jul 14, 2023 9:22 PM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 2:23 PM

[১]উত্তরাঞ্চলে বন্যাপরিস্থিতির অবনতি দুই জেলায় পানিবন্দি ৩০ হাজার পরিবার

মুরাদ হাসান: [২] উজানের ঢলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। এ নিয়ে পঞ্চম দফায় প্লাবিত হচ্ছে  দেশের উত্তরাঞ্চলের নীচু এলাকাসমূহ।

[৩] কুড়িগ্রামের দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বেড়েই চলছে। পানি বাড়ার কারণে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক। অন্য দিকে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে দুধকুমার নদের বাঁধ উপচে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।


[৪] প্রতিনিধি শাহানাজ পারভীনের পাঠানো তথ্যে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, শুক্রবার ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপরে, দুধকুমর নদী পানি বিপদ সীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিলো। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

[৫] লালমনিরহাটের ৫ উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার। পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নদীপাড়ের অধিকাংশ পরিবারের সুপেয় পানির টিউবয়েল ডুবে গেছে। মাচাং বানিয়ে তাতে রান্না করছেন নারীরা। এক বেলা রান্না করে চালিয়ে নিচ্ছেন ২/৩ বেলা। মাচাংয়ের ওপর পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিস্তা পাড়ের পানিবন্দি পরিবারগুলো। 

[৬] লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যা বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জেলার ৫ উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সরকারিভাবে ৪৫০ টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা পানিবন্ধি পরিবারের জন্য দেওয়া হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নেওয়া রয়েছে। আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউএনওদের মাধ্যমে সকল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তথ্য পাঠিয়েছেন জেলা প্রতিনিধি মামুনুর রশিদ।

[৭] শুক্রবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ঘাঘট নদের পানি বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। একইভাবে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার, ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ও চক রহিমাপুর পয়েন্টে করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না